সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের দেড় ঘণ্টায় পুঁজিবাজারের সূচকে উত্থান-পতন দেখা গেছে। লেনদেন শুরু হলে রোববার সূচক একবার বাড়ছে আরেকবার কমছে। তবে ইতিবাচক ছিল ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে।
১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে পুঁজিবাজারে রোববারসহ লেনদেন হয়েছে দুদিন।
এই সময়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
ফ্লোর প্রাইসহীন কোম্পানির উত্থান
লেনদেনের এই সময়ে যে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের সর্বনিম্ন দর উঠিয়ে দেয়া হয়েছিল, সেগুলোর উত্থান হতে দেখা গেছে।
এ সময়ে ইউনিক হোটেল লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। শেয়ারদর ৩৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা ২০ পয়সা।
নাভানা সিএনজি শেয়ারদর বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ সময়ে শেয়ারটির দর ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা ৪০ পয়সা।
সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ারদর বেড়েছে ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ১০ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের কার্যদিবসে শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা ৩০ পয়সা।
আরএস স্পিনিং মিলসের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রতিটি শেয়ার ৪ টাকা থেকে বেড়ে লেনদেন হচ্ছে ৪ টাকা ১০ পয়সা।
এএফসি এগ্রো লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। লেনদেন কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা।
গত ৭ এপ্রিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬৬ কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের সর্বনিম্ম দর উঠিয়ে দেয়। তবে এসব কোম্পানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা হিসেবে বলা হয়, কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারলেও কমবে ২ শতাংশ পর্যন্ত।
৭ এপ্রিলের পর সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর প্রথম দিকে ১০ শতাংশ, পরবর্তী সময়ে ২ শতাংশ করে কমেছিল।
সূচক ও লেনেদন
রোববার লেনদেনে সূচকের কখনও বাড়ছে আবার কখনও কমছে। লেনদেন শুরু হওয়ার পর ৪ মিনিটে সূচকের উত্থান হয় ১৫ পয়েন্ট। তার দুই মিনিটে সূচকের পতন হয় ৫ পয়েন্ট। এভাবে চলতে থাকে ১৫ মিনিট।
তারপর ১০টা ২২ মিনিটে বড় পতনের দিকে যায় সূচক। এ সময় সূচকের পতন হয় ৩২ পয়েন্ট। এ অবস্থায় চলে ১০টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। তারপর আবার উঠে দাঁড়ায় সূচক। বাড়ে ১৩ পয়েন্ট।
এমন অবস্থায় বর্তমানে লেনদেনের দেড় ঘণ্টায় সূচকের পতন হয়েছে ১০ পয়েন্ট। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৯৯ পয়েন্ট।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক কমেছে ২ দশমিক ০১ পয়েন্ট। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৪ দশমিক ৯১ পয়েন্ট।
এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ১৮৯টির। দর পাল্টায়নি ৭২টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৩১৫ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩৪ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৪ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৪টির, কমেছে ৭৮টির। দর পাল্টায়নি ২৪টির। এ সময়ে মোট লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি টাকা।